চলচ্চিত্র Wiki
Advertisement

thumb|300px|স্যাম বোডেন ও লেই বোডেন thumb|300px|নেগেটিভ ধর্মী শট। মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব ও অস্থিরতা বোঝাতে এমন শট প্রায় ব্যবহৃত হয়েছে thumb|300px|স্যাম ও লেই এর মেয়ে ড্যানিয়েল এর চোখ thumb|300px|থিয়েটারে ড্যানিয়েল ও কেডির ভেরি ওয়াইড শট বা লং শট কেইপ ফিয়ার মার্টিন স্করসেজির সবচেয়ে ভাল সিনেমাগুলোর মধ্যে নেই। পাশাপাশি এটি একটি রিমেক তথা পুনর্নির্মাণ। সাধারণত রিমেক কখনও আসল সিনেমার মত ভাল হয় না। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। রটেন টম্যাটোস রেটিং লক্ষ্য করা যাক: ১৯৬২ সালের সিনেমাটির রটেন টম্যাটোস রেটিং ৯৫% আর স্করসেজির ভার্সনের রেটিং ৭৫%। রেটিং এ পুরো ২০% ড্রপ।

তবে কেইপ ফিয়ারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে সাধারণ একশন এবং থ্রিলার সিনেমার মধ্যেও স্করসেজি তার চিরাচরিত স্টাইলের চর্চা করতে পেরেছেন।

সিনেমার কাহিনী আইন ব্যবসা কেন্দ্রিক। আইনজীবীদের নৈতিকতার মানদণ্ড নিয়ে ভয়ানক ডাইলেমা আছে এতে। স্যাম বোডেন একজন পাবলিক ডিফেন্ডার, অর্থাৎ যেসব আসামীর কোন আইনজীবী ভাড়া করার মত টাকা নেই তাদের জন্য সরকারী আইনজীবী হিসেবে কাজ করে। ১৪ বছর আগে সে ম্যাক্স কেডি নামক এক ধর্ষণের আসামীর পাবলিক ডিফেন্ডার হিসেবে কাজ করেছিল। ১৪ বছরের জেল হয় তার, ছাড়া পেয়ে বোডেন এবং তার পরিবারকে চূড়ান্ত কষ্ট দেয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকে। কারণ, বোডেন চাইলে তার ১৪ বছরের সাজা মওকুফ করতে পারত। সে যে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছিল সে ছিল প্রমিসকুয়াস, এক মাসে তার ৩ জনেরও বেশি প্রমিক ছিল। এমন ক্ষেত্রে আমেরিকার আইনে সাজা কমে যায়। বোডেন এটা জানার পরও তথ্যটি উধাও করে দেয়, কেডি মেয়েটিকে যেমন নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও মারধোর করেছিল তা দেখার পর কেডির পক্ষে কিছু বলার রুচি হয়নি বোডেনের।

কিন্তু আইনের নিয়মই এমন। আসামী যতই কুখ্যাত ও নৃশংস হোক না কেন তার পক্ষে যা পাওয়া যায় তাই আদালতের সামনে হাজির করতে হবে। কেডি জেলে থাকা অবস্থায় এসব তথ্য জানতে পারে এবং ছাড়া পাওয়ার পর প্রতিশোধের আগুনে উন্মত্ত হয়ে উঠে। উল্লেখ্য তার মানসিক সমস্যাও রয়েছে। ধর্ষণ করার সময় সে একজনের শরীর কামড়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। আর সুযোগ খুঁতে থাকে বোডেনের সামনে তার স্ত্রী ও ১৫ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করার।

সিনেমায় ক্যামেরার কাজ ছিল খুব অস্থির। শেষ ৩০ মিনিটের প্রায় পুরোটাই একশন। তবে পুরো সিনেমা জুড়েই ক্যামেরা একশন দৃশ্যের মত আচরণ করে।

বেশ কিছু দার্শনিকের লেখার দিকে ইঙ্গিত করা হয় এতে। যেমন কেডি লাইব্রেরিতে বসে ফ্রিডরিশ নিৎশের "দাস স্পোক জরথুস্ত্র" বইটি পড়েছিল যাতে বলা হয়েছে "ঈশ্বর মৃত"। এছাড়া কেডি এক পর্যায়ে সপ্তদশ শতকের জার্মান ক্যাথলিক দার্শনিক ও কবি আংগেলুস সিলেসিয়ুস এর একটি লেখা থেকে আবৃত্তি করে,

I am like God and God like me. I am as large as God. He is as small as I. He cannot above me nor I beneath him be.

এছাড়া সিনেমায় বাইবেল এবং ধর্ম ও ঈশ্বরের প্রসঙ্গ আসে অনেকবারই। কেডি স্যামকে বাইবেলের "বুক অফ জব" পড়তে বলে যেখানে ঈশ্বরের দ্বারা জবের সর্বস্ব কেড়ে নেয়ার ঘটনা বিধৃত আছে। কেডি সেই ঈশ্বরের ভূমিকাই নিতে চাচ্ছে। শেষের একশন দৃশ্যের সময় কেডি ভার্জিলের কথাও বলে, ভার্জিলের মতোই সে চায় স্যামকে নরকের পথে নিয়ে যেতে। বিষয়শ্রেণী:১৯৯১ বিষয়শ্রেণী:একশন বিষয়শ্রেণী:ক্রাইম থ্রিলার বিষয়শ্রেণী:আইন বিষয়শ্রেণী:মার্টিন স্করসেজি বিষয়শ্রেণী:ইংরেজি

Advertisement